এই দিনেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হয়েছিলেন এই পৃথিবীতে । জন্মাষ্টমী পালন করলে ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক উপকার পাওয়া যায় । হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন যে, এই পবিত্র দিনে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করলে তিনি তাদের উপর কৃপা বর্ষণ করেন । আর উপকার বড়ো কথা না । ভগবানের প্রতি আমাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রকাশ করার এই সুযোগ আমরা হাতছাড়া করি না কখনোই ।
জন্মাষ্টমী পালন করলে কি হয় ?
- ধর্মীয় কল্যাণ: জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি এবং আরাধনা করা আমাদের ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ । এটি ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে একজন ব্যক্তির অংশগ্রহণ বাড়াতে সাহায্য করে । যা আমাদের হিন্দুধর্মকে আরো একীভূত করে ।
- আধ্যাত্মিক উন্নতি: ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং দর্শনের অবতার হিসেবে দেখা হয় । তাঁর জীবন এবং উপদেশগুলি আধ্যাত্মিক জীবন যাপনের জন্য আমাদের সর্বদা অনুপ্রেরণা জোগায় ।
- পাপমোচন: আমাদের হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, জন্মাষ্টমীর দিনে উপবাস এবং পূজা করলে পাপমোচন হয় এবং মন শুদ্ধ হয় ।
- মঙ্গল ও সমৃদ্ধি: ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সুখ, সমৃদ্ধি এবং মঙ্গলের দেবতা হিসেবেও পূজা করা হয় । তাঁর আশীর্বাদে জীবনে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি আসে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
- পরিবারিক বন্ধন শক্তিশালী করা: জন্মাষ্টমীতে পরিবারের সবাই একসাথে মিলে পূজা এবং উৎসব পালন করে । এটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বন্ধন শক্তিশালী করে ।
- সামাজিক সম্প্রীতি: জন্মাষ্টমী একটি সামাজিক উৎসবও বটে । এটি হিন্দুধর্মের সকলকে একত্রিত করে এবং সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে ।
জন্মাষ্টমী পালনের অন্যান্য উপকারিতা:
- ধৈর্য এবং শান্তি: উপবাস এবং ধ্যানের মাধ্যমে ধৈর্য এবং শান্তি অর্জন করা যায় । যা আমাদের ব্যক্তিজীবনে গভীর প্রভাব ফেলে ।
- আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা যায় ।
আর সর্বোপরি মনে রাখবেন জন্মাষ্টমী পালনের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হল শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি এবং তাঁর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করা ।