ভগবান বিষ্ণুর পরশুরাম অবতার
একটা সময় ছিল যখন ক্ষত্রিয়দের অত্যাচারে সমাজ, ধর্ম জাতি ধংস হতে বসেছিল । ঠিক সেই সময় ত্রেতা ও দ্বাপর যুগের সংধিক্ষণে, বিষ্ণু তার ষষ্ঠ অবতার হিসেবে ভগবান পরশুরাম রূপে অবতীর্ণ হন । ঋষি জমদগ্নি এবং ক্ষত্রিয় কন্যা রেণুকা ছিলেন তার পিতা-মাতা । এক স্বৈরশাসক ক্ষত্রিয় রাজা কার্তবীর্যার্জুন জমদগ্নির আশ্রম আক্রমণ করে গো-মাতা কামধেনু কে অপহরণ করেন ।
পরশুরামের পিতা জমদগ্নি তাকে স্বৈরাচারী রাজা কার্তবীর্যার্জুনকে হত্যা করার জন্য আদেশ দেন ।পরশুরাম ২১ বার পৃথিবী থেকে অত্যাচারী ও অন্যায়কারী ক্ষত্রিয়দের নির্মূল করেন । সৎ ও ধার্মিক ব্রাহ্মণদের রক্ষা করেন । এছাড়াও তিনি গঙ্গা নদীর তীরে ভ্রমণ করে বিভিন্ন তীর্থস্থান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।তিনি ভীষ্ম, কর্ণ, দ্রোণাচার্য ইত্যাদি মহারথীদের অস্ত্রশিক্ষা দিয়েছিলেন ।
পরশুরাম একজন অসাধারণ যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত ছিলেন । পরশুরাম মহাদেবের একজন নিষ্ঠাবান ভক্ত ছিলেন । সেসময় পরশুরাম দানশীল এবং দয়ালু ব্যক্তি হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন ।