মৎস্য অবতার - বিষ্ণুর প্রথম অবতার
ভগবান বিষ্ণুর প্রথম অবতার হলো মৎস্য অবতার । এই অবতারের শরীরের উপরের অংশ দেখতে মানুষের মতো । নিচের অংশ মাছের মতো । অনেক বছর আগে সত্যযুগে সত্যব্রত নামে একজন রাজা ছিলেন । তাঁর রাজত্বকালে হঠাৎ পৃথিবীতে অনেক দুর্যোগ দেখা দেয় । ধর্মের অবস্থা খারাপ হয়ে যায় । অধর্মের মাত্রা বেড়ে যায় । রাজা তখন ঈশ্বরের করুণা কামনা করেন । একদিন স্নানের সময় রাজা সত্যব্রতের নিকট এসে একটি ছোট পুঁটি মাছ প্রাণ ভিক্ষা চায় । রাজা কমণ্ডলুতে করে মাছটিকে বাড়ি নিয়ে এলেন। কিন্তু অবাক কাণ্ড ।
আরো জানুনঃ শকুনি মামা সম্পর্কে ৮ টি অজানা এবং আশ্চর্যজনক তথ্য
মাছটির আকার ক্রমশ বাড়তে থাকে । মাছটিকে পুকুর, নদী কোথাও রাখা যাচ্ছিল না । মাছটি আকারে বাড়তেই থাকে। তখন রাজা ভাবলেন, এটা আসলে মাছ নয় । নিশ্চয়ই ভগবান নারায়ণের কোনো রূপ । রাজা তখন মৎস্যরূপী নারায়ণের স্তব-স্তুতি করতে লাগলেন । স্তব-স্তুতিতে সন্তুষ্ট হয়ে মৎস্যরূপী নারায়ণ বললেন, সাত দিনের মধ্যে এ জগতের প্রলয় হবে । সে সময় তোমার ঘাটে একটি স্বর্ণতরী ভিড়বে । তুমি বেদ, সব রকমের জীবদম্পতি, খাদ্য-শস্য ও বৃক্ষবীজ সংগ্রহ করে তাদের নিয়ে সেই নৌকায় উঠবে । আমি তখন শৃঙ্গধারী মৎস্যরূপে আবির্ভূত হব । তুমি তোমার নৌকাটি আমার শৃঙ্গের সঙ্গে বেঁধে রাখবে ।
মহাপ্রলয় শুরু হলো । মৎস্যরূপী নারায়ণের নির্দেশ অনুসারে রাজা কাজ করলেন । ধ্বংসের হাত থেকে রাজা, তার সঙ্গী-সাথি এবং অন্যান্য দ্রব্য-সামগ্রী রক্ষা পেল । এভাবে মৎস্যরূপী ভগবান বিষ্ণু সৃষ্টিকে রক্ষা করলেন । রক্ষা পেল পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বেদ ।