Table Of Content (toc)
কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পূজা পদ্ধতি
আচমন- গরুর কানের ন্যায় হাতের তেলো
করে, ডান হাতের বুড়ো
আঙ্গুলের গোড়ায় মাষকলাই ডুবতে পারে এমন পরিমাণ জল নিয়ে ‘ওঁ বিষ্ণু’ মন্ত্রে তিনবার
জল পান হাত ধুয়ে হাত জোড় করে পাঠ করবে :
ওঁ তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ
দিবীব চক্ষুরাততম্ ৼ ওঁ বিষ্ণুঃ ওঁ বিষ্ণুঃ ওঁ বিষ্ণুঃ ।
ওঁ অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোহপি বা
যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।
গন্ধাদির অর্চনা
‘ওঁ এতেভ্যো গন্ধাদিভ্যো নমঃ’
-মন্ত্রে পুষ্পপাত্রে সাজানো গন্ধ ও পুষ্পাদিতে জলের দ্বারা তিনবার প্রোক্ষণ ( চিৎ
হাতে জলের ছিটা ) করবে। পরে গন্ধপুষ্প নিয়ে ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতেভ্যো
গন্ধাদিভ্যো নমঃ’ বলে পুষ্পপাত্রে দিবে এবং হাতে এক একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে নিচের এক
একটি মন্ত্র বলে বলে গন্ধপুষ্প তাম্রকুণ্ডে দিয়ে দিয়ে পূজা করবে।
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতদধিপতয়ে দেবায় শ্রীবিষ্ণবে নমঃ’
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতৎসম্প্রদানেভ্যঃ পূজনীয়দেবতাভ্যো নমঃ’
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীগুরবে নমঃ’
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে গণেশাদিপঞ্চদেবতাভ্যো নমঃ’
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে নমো নারায়ণায় নমঃ’
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে ব্রাহ্মণেভ্যো নমঃ’।
সূর্যার্ঘ্য
কুশীতে জল, রক্তপুষ্প, রক্তচন্দন,
আতপ চাল, যব, তিল,
সরিষা, কুশের অগ্র ও দুর্বা নিয়ে
নিম্নোক্ত মন্ত্রে নিবেদন করবে :
‘ওঁ নমো বিবস্বতে ব্রহ্মন্ ভাস্বতে বিষ্ণুতেজসে।
জগৎসবিত্রে শুচয়ে সবিত্রে কর্মদায়িনে।
এষোহর্ঘ্যঃ শ্রীসূর্যায় নমঃ’
প্রণাম
ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্ ।
ধান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্ ।
স্বস্তিবাচন
‘ওঁ কর্তব্যেহস্মিন্ গনেশাদি নানা দেবতা পূজা পূর্বক শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পূজাকর্মণি ওঁ পুণ্যাহং ভবন্তো ব্রুবন্তু’। পরে ‘ওঁ পুণ্যাহং’ তিনবার বলতে বলতে ঘণ্টাবাদনপূর্বক আতপ চাল ছড়াবে।
‘ওঁ কর্তব্যেহস্মিন্ গনেশাদি নানা দেবতা পূজা পূর্বক শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পূজাকর্মণি ওঁ স্বস্তি ভবন্তো ব্রুবন্তু’। পরে ‘ওঁ স্বস্তি’ তিনবার বলতে বলতে ঘণ্টাবাদনপূর্বক আতপ চাল ছড়াবে।
‘ওঁ কর্তব্যেহস্মিন্ গনেশাদি নানা দেবতা পূজা পূর্বক শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পূজাকর্মণি ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তো ব্রুবন্তু’। পরে ‘ওঁ ঋদ্ধ্যতাম্’ তিনবার বলতে বলতে ঘণ্টাবাদনপূর্বক আতপ চাল ছড়াবে। পরে নিম্নোক্ত মন্ত্রপাঠ ও ঘণ্টাবাদনসহ আতপ চাল ছড়াবে।
যজুর্বেদীয়-স্বস্তিবাচন- ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ ।
স্বস্তি নস্তার্ক্ষো অরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতির্দধাতু।
ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি।
আব্রাক্ষন গন ওঁ স্থলে নমঃ বলবে ।
সঙ্কল্প
তাম্রপাত্রে ( কুশীতে ) তিনটি কুশ, তিল, তুলসী, হরিতকী, গন্ধ, পুষ্প, আতপ চাল ও জল নিয়ে পূর্বমুখী ( বা উত্তরমুখী ) বসবে। বাম করতলে কুশী স্থাপন করে দক্ষিণ করতল দ্বারা আচ্ছাদনপূর্বক পাঠ করবে ।
বিষ্ণুরোম্ তৎসদদ্য শ্রাবণ মাসি
কৃষ্ণেপক্ষে অষ্টম্যাং তিথৌ ( যারা গোস্বামী মতে বুধবার রাতে পুজো করবে তারা
বুধবার সকালে অষ্টমীর মধ্যে সংকল্প করবেন তারা অষ্টম্যাং তিথৌ বলবেন না। তারা
বলবেন অষ্টম্যাং তিথাবারভ্য) অমুকগোত্রঃ শ্রীঅমুকদেবশর্মা ( পরার্থে- অমুকগোত্রস্য
অমুকদেবশর্মণঃ ) [অমুকগোত্রঃ শ্রীঅমুকঃ (যজমানের গোত্র ও নাম)] শ্রীকৃষ্ণ
প্রীতিকামনায়া শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পূজাকর্ম অহং করিষ্যে (পরার্থে- করিষ্যামি ) ।
পরে হাতের পাত্রটি ঈশান কোণে উপুড়
করে রেখে তার উপর নিম্নোক্ত মন্ত্রে আতপ চাল ছড়াবে এবং ঘণ্টা বাজাবে ।
যজুর্বেদীয় সঙ্কল্পসূক্ত- ওঁ যজ্জাগ্রতো দূরমুদৈতি দৈবং তদু সুপ্তস্য তথৈবৈতি ।
দূরঙ্গমং জ্যোতিষাং জ্যোতিরেকং তন্মে মনঃ শিবসঙ্কল্পমস্তু ।
কৃতাঞ্জলী-ওঁ ধৰ্ম্মায় ধৰ্ম্মেশ্বরায় ধৰ্ম্মপতয়ে ধৰ্ম্মসন্তবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ ।
ওঁ বাসুদেবং সমুদিশ্য সৰ্ব্বপাপপ্রশান্তয়ে।
উপবাসং করিষ্যামি কৃষ্ণাষ্টম্যাং নভস্যহম্ ॥
অদ্য কৃষ্ণাষ্টমীং দেবীং নভশ্চন্দ্রসরোহিণীম্ ।
অৰ্চয়িত্বোপবাসেন ভোক্ষ্যেহহমপরেহহনি ॥
এনসো মোক্ষকামোহস্মি যদগোবিন্দ ত্রিযোনিজ তম্মে মুঞ্চতু মাং ত্ৰাহি পতিতং শোকসাগরে।
আজন্মমরণং তাবৎ যন্ময় দুষ্কৃতং কৃতম্। তৎ প্রণাশয় গোবিন্দ প্রসীদ পরমেশ্বর।
যদিও জন্মাষ্টমী প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহে
করা হয় সেক্ষেত্রে ঘট স্থাপন প্রয়োজন নেই তবে করলে—
ওঁ সর্বতীর্থোদ্ভবং বারি সর্বদেবসমন্বিতম।
ইমং ঘটং সমারুহ্য তিষ্ঠ দেবি গণৈঃ সহ।
ঘটস্পর্শ করে পাঠ করবে- ওঁ স্থাং স্থীং স্থিরো ভব।
ব্রাহ্মণগন বৈদিক গায়েত্রী পাঠ
করবেন-
ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ তৎ সবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্য ধীমহি ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ।। -এই মন্ত্রও ঘট স্পর্শ করে তিনবার পাঠ করবে।
সামান্যার্ঘ্যস্থাপন-
নিজের সামনে একটু বামদিকের ভূমিতে
অধোমুখ ত্রিকোণ (পুং দেবতা হলে উর্ধমুখ),
বৃত্ত ও চতুর্ভুজ মণ্ডল এঁকে তদুপরি পূজা করবে-
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্তাদিভ্যো নমঃ।
পরে ‘ফট্’ মন্ত্রে কোশা ধুয়ে
মণ্ডলোপরি স্থাপন করে ‘নমঃ’ মন্ত্রে জলপূর্ণ করবে এবং ‘ওঁ’ মন্ত্রে কোশার অগ্রভাগে
একটি অর্ঘ্য (বিল্বপত্র, গন্ধপুষ্প,
দুর্বা ও আতপ চাল) সাজিয়ে দিবে। ‘ওঁ’ মন্ত্রে দূর্বা, অক্ষত বিল্বপত্র, চন্দন, পুষ্প, তুলসীপত্র, আতপ
চাল কোশার জলে নিক্ষেপ করবে। পরে অঙ্কুশ মুদ্রায় জল স্পর্শ করে নিম্নোক্ত মন্ত্রে
সূর্যমণ্ডল হতে তীর্থ আবাহন করবে-
ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতি।
নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেহস্মিন্ সন্নিধিং কুরু।।
অতঃপর ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে তীর্থেভ্যো
নমঃ’ মন্ত্রে জলে তীর্থপূজা করে ‘হূঁ’ মন্ত্রে অবগুণ্ঠন মুদ্রা ও ‘বং’ মন্ত্রে
ধেনুমুদ্রা প্রদর্শনপূর্বক মৎস্যমুদ্রায় জল আচ্ছাদন করে ১০ বার ‘ওঁ’ মন্ত্র জপ
করবে।
এরপর সামান্যার্ঘ্যের জল নিজের মাথায়
ও দ্বারদেশে ছিটিয়ে দিয়ে দ্বারদেবতার পূজা করবে।
দ্বারদেবতাপূজা- ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে
দ্বারদেবতাভ্যো নমঃ (নৈঋতকোণে); তাম্রকুণ্ডে- ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে ব্রহ্মণে নমঃ; ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে বাস্তুপুরুষায় নমঃ
ভূতাপসারণ- ‘ওঁ অস্ত্রায় ফট্’
মন্ত্রে আতপ চালে সাতবার জপ করে তা ঘন্টাবাদন করতে করতে নিম্নোক্ত মন্ত্রে নারাচ
মুদ্রায় (অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জনী যোগে) চারদিকে ছড়াবে-
ওঁ সর্ববিঘ্নানুৎসারয় হূঁ ফট্ স্বাহা।
ওঁ অপসর্পন্তু তে ভূতা যে ভূতা ভুবি সংস্থিতাঃ।
যে ভূতা বিঘ্নকর্তারস্তে নশ্যন্তু শিবাজ্ঞয়া
আসনশুদ্ধি
স্ববামে আসনের নিম্নবর্তী ভূমিতে
ত্রিকোণ মণ্ডল এঁকে ‘ওঁ হ্রীঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্ত্যাদিভ্যো নমঃ’ –মন্ত্রে
মণ্ডল পূজা করবে। অতঃপর আসন স্পর্শ করে পাঠ করবে- ‘ওঁ অস্য আসনোপবেশনমন্ত্রস্য
মেরুপৃষ্ঠ ঋষিঃ সুতলং ছন্দঃ কূর্মো দেবতা আসনোপবেশনে বিনিয়োগঃ’। পরে কৃতাঞ্জলিপূর্বক
পাঠ-
ওঁ পৃথ্বি ত্বয়া ধৃতা লোকা দেবি ত্বং বিষ্ণুনা ধৃতা।
ত্বঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্রং কুরু চাসনম্ ।।
অতঃপর আসনের উপর ত্রিকোণ মণ্ডল এঁকে
‘হ্রীঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্তয়ে কমলাসনায় নমঃ’- মন্ত্রে ঐ মণ্ডল গন্ধপুষ্প
দ্বারা পূজা করবে।
গুরুপ্রণাম
হাত জোড় করে প্রণাম করবে।
বামকর্ণোর্ধ্বে- ঐঁ গুরুভ্যো নমঃ; তদূর্ধ্বে- ঐঁ পরমগুরুভ্যো নমঃ; তদূর্ধ্বে- ঐঁ
পরাপরগুরুভ্যো নমঃ; তদূর্ধ্বে- ঐঁ পরমেষ্ঠিগুরুভ্যো নমঃ;
দক্ষিণকর্ণোর্ধ্বে- ওঁ গণেশায় নমঃ; মধ্যে
অর্থাৎ ললাটে বা হৃদয়ে ক্লীং কৃষ্ণায় (গোপালায়) নমঃ
করশুদ্ধি
‘হেঁসৌঃ’ মন্ত্রে একটি সচন্দন
রক্তবর্ণ পুষ্প নিয়ে ‘আং হূং ফট্ স্বাহা’ মন্ত্রে উভয় করতল দিয়ে মর্দন করে বাম
হাতের নারাচ মুদ্রায় সেই ফুলটিকে মাথার চারদিকে ‘ক্লীং’ মন্ত্রে ঘুরিয়ে ‘ঐং’
মন্ত্রে ঘ্রাণ নিয়ে ‘ফট্’ মন্ত্রে ঈশানকোণে নিক্ষেপ করবে ।
পুষ্পশুদ্ধি
‘ওঁ শতাভিষেক হূঁ ফট্ স্বাহা’
মন্ত্রে পুষ্পে জলের ছিটা দিয়ে ‘ওঁ পুষ্পে পুষ্পে মহাপুষ্পে সুপুষ্পে পুষ্পসম্ভবে
পুষ্পচয়াবকীর্ণে চ হূঁ ফট্ স্বাহা’ মন্ত্রে পুষ্প স্পর্শ করে শোধন করবে ।
ত্রিবিধ বিঘ্নাপসারণ
‘ওঁ ঐঁ’ মন্ত্র উচ্চারণ করে ঊর্ধ্বে
দৃষ্টিপাতকরতঃ দিব্যবিঘ্নাপসারণ করবে। তারপর তর্জনী ও মধ্যমা দ্বারা বাম করতলে
ঊর্ধ্ব ঊর্ধ্ব ক্রমে তালত্রয় দিয়ে দক্ষিণ হস্তের অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জনী দ্বারা
পূর্বদিক থেকে আরম্ভ করে ঈশানকোণ পর্যন্ত এবং অধঃ ও ঊর্ধ্ব- এই দশ দিকে ‘ফট্’
মন্ত্রে তুড়ি দিয়ে দিগবন্ধন করবে। তারপর ‘ফট্’ মন্ত্রে বামপায়ের গোড়ালি দ্বারা
ভূমিতে তিনবার আঘাত করে ভূমিবিঘ্ন অপসারণ করে ‘অস্ত্রায় ফট্’ মন্ত্রে ঊর্ধ্বদিকে
জলের ছিটা দিয়ে অন্তরিক্ষবিঘ্ন দূর করবে।
বহ্নি প্রকার চিন্তা রং মন্ত্রে
নিজের চারদিকে বৃত্তাকারে জল প্রক্ষন, এর পর স্ককীয় হৃদয়ে ধ্যায়েত শ্রীকৃষ্ণ
চরনাম্বুজম। ভূতশুদ্ধিমিমাং প্রাহূ সর্ব্বাগম বিশারদা।।
কৃতাঞ্জলী ওঁ গনেশাদি নানা দেবতা
ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহ সন্নিধেহি ইহ সন্নিরুধ্যস্ব অত্রাধিষ্ঠানং
কুরূ মম পুজা গৃহান ।
এবারে ফুল নিয়ে
এতে গন্ধপুষ্পে শ্রী গুরবে নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে গনেশায় নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে সুর্য্যায় নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে নারায়ণায় নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে শিবায় নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে শ্রী জয় দুর্গায়ৈ নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে ইষ্ট দেবতায়ৈ (দেবী হলে ইষ্ট দেবৌ নমঃ)
গন্ধপুষ্পে আদিত্যাদি-নবগ্রহেভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে ইন্দ্রাদি-দশদিকপালেভ্যো নমঃ।
এতে গন্ধপুষ্পে কাল্যাদি-দশমহাবিদ্যাভ্যো নমঃ।
এতে গন্ধপুষ্পে মৎস্যাদি-দশাবতারেভ্যো নমঃ।
এতে গন্ধপুষ্পে সর্বেভ্যো দেবেভ্যো নমঃ।
এতে গন্ধপুষ্পে সর্বাভ্যো দেবীভ্যো নমঃ
শ্রীকৃষ্ণ মাতা দেবকীর পুজো
হাতে ফুল নিয়ে ধ্যান
ওঁ গায়দ্ভিঃ কিন্নরাদ্যৈঃ সতত
পরিবৃতা বেনুবীনাদিনাদৈর্ভৃঙ্গারাদর্শকুম্ভপ্রকর কৃতকরৈঃ কিন্নরৈঃ সেব্যমানা ।
পর্যঙ্কে সাস্তৃতে যা মুদিতত্তরমুখী
পুত্রিনী শম্যগন্তে সা দেবী দেবমাতা জয়তি সুতনয়া দেবকীর কান্তারূপা।।
আবাহনী পঞ্চমুদ্রা দেখিয়ে বা যারা
যানে না তারা কৃতাঞ্জলী ম্নত্র বলবেন ।
ওঁ দেবক্যৈ ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ
ইহতিষ্ঠ ইহ সন্নিধেহি ইহ সন্নিরুধ্যস্ব অত্রাধিষ্ঠানং কুরূ মম পুজা গৃহান
চন্দন নিয়ে এষঃ গন্ধঃ দেবক্যৈ নমঃ
ফুল নিয়ে ইদং সচন্দন পুষ্পম দেবক্যৈ
নমঃ
এষঃ ধূপ দেবক্যৈ নমঃ । ধুপে জলের
ছিটা দেবে।
এষঃ দীপ দেবক্যৈ নমঃ । প্রদীপে জলের
ছিটা
একটু আতপ চাল নিয়ে ইদং আমান্ন
নৈবেদ্যং দেবক্যৈ নমঃ
ঋষ্যাদিন্যাস
কৃতাঞ্জলী - অস্য শ্রীকৃষ্ণ
মন্ত্রস্য নারদঋষির্ব্বিরাটচ্ছন্দ শ্রীকৃষ্ণ দেবতা ক্লীং বীজং স্বাহা শক্তি
দুর্গাদেবী কীলকং পুরূষার্থ সিদ্ধয়ে বিনিয়োগ।
শিরে – নারদ ঋষয়ে নমঃ। মুখে বিরাট
ছন্দসে নমঃ। হৃদয়ে – শ্রীকৃষ্ণ দেবতায়ৈ নমঃ । গুহ্যে ক্লীং বীজায় নমঃ। পাদয়ো
স্বাহা শক্তয়ে নমঃ । সর্বাঙ্গে – মন্ত্রাদিষ্ঠাত্রৈ দুর্গায়ৈ নমঃ।।
নীচের উল্লেখিত অঙ্গুলি স্পর্শ করবে
করন্যাস- ক্লাং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ;
ক্লীং তর্জনীভ্যাং স্বাহা;ক্লুং
মধ্যমাভ্যাং বষট্; ক্লৈং অনামিকাভ্যাং হূং; ক্লৌঃ কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্; ক্লঃ করতল
পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
অঙ্গন্যাস ক্লাং হৃদয়ায় নমঃ; ক্লীং শিরসেস্বাহা;ক্লুং শিখায়ৈ বষট্; ক্লৈং কবচায় হূং;
ক্লৌঃ নেত্রাভ্যাং বৌষট্; ক্লঃ করতল
পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
ব্যাপকন্যাস হৃদয় থেকে হাত পা
পর্যন্ত আবার পা থেকে হাত হৃদয়ে নিয়ে যাবে তিনবার – ওঁ কিরীটকেয়ুরহার মকর
কুন্ডল শংখ চক্র গদা-ম্ভোজ হস্তশ্রীবক্ষ বৎসস্থলং শ্রীভূমি সহিতাত্মজ জ্যোতিত্বর
দীপ্তকরায় সহস্রাদিত্য তেজসে নমঃ ।
ধ্যান – ওঁ ক্লীং মাঞ্চাপি বালকংসুপ্তং পর্যঙ্কে
স্তনপায়িনম।শ্রীবৎসবক্ষঃ পূর্ণাঙ্গ নীলোত্পল দলচ্ছবিম।।
ধ্যান করে ফুলটি মাথায় রেখে হৃদয়ে
ভগবান কে চিন্তা করবে
আবার ধ্যান করে ভগবানের চরনে ফুল
দিবে
এবারে স্নান করাবে
দুধ দ্ই ঘি মধু চিনি পঞ্চামৃত ও জল
দিয়ে নীচের মন্ত্রে
যোগেশ্বরায় গোগসম্ভবায় যোগপতয়ে
গোবিন্দায় নমো নমঃ ।
গোপালায় বিদ্মহে গোপীজন বল্লভায়
ধীমহি তন্নো গোপালঃ প্রচোদয়াত্।
স্নান শেষ করে ভগবান কে সাজিয়ে অসনে
স্থাপন করে পীঠপুজা
হাতে ফুল নিয়ে
এতে গন্ধপুষ্পে পীঠ দেবতাভ্য নমঃ ।
এতে গন্ধপুষ্পে পীঠ শক্তিভ্য নমঃ
আবার ধ্যান হাতে ফুল নিয়ে
ওঁ ক্লীং মাঞ্চাপি বালকংসুপ্তং
পর্যঙ্কে স্তনপায়িনম।শ্রীবৎসবক্ষঃ পূর্ণাঙ্গ নীলোত্পল দলচ্ছবিম।।
ধ্যান করে ফুলটি ভগবানের চরনে দেবে
আবাহন ( যাদের প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহ আছে তাদের আবাহন করতে নেই)
ওঁ ক্লীং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দেব
ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহ সন্নিধেহি ইহ সন্নিরুধ্যস্ব অত্রাধিষ্ঠানং
কুরূ মম পুজা গৃহান।
কৃতাঞ্জলী
– ওঁ আগচ্ছ পরমানন্দ জগদ্ব্যাপিন জগন্ময়।
মদনুগ্রহান দেবেশ মন্ডলে কুরূ
সন্নিধিম।
ওঁ দেবেশ ভক্তি সুলভে পরিবার
সমন্বিত।
যাবত্বাং পুজয়িষ্যামি তাবত্বং
সুস্থিরাভব।।
কুশীতে জল লইয়া এতদ পাদ্যম ক্লীং
কৃষ্ণায় ( গোপাল হলে
গোপালায় ) নমঃ
জল শংখে জল চন্দন ফুল আতপচাল তুলসী
দুর্বা লইয়া ইদম অর্ঘ্য ক্লীং কৃষ্ণায়
( গোপাল হলে গোপালায় ) নমঃ।
কুশীতে জল লইয়া ইদম আচমনীয়োদকম
ক্লীং কৃষ্ণায় (গোপাল হলে গোপালায় )নমঃ
কুশীতে জল লইয়া ইদম স্নানীয়োদকায়
দকম ক্লীং কৃষ্ণায় (গোপাল হলে
গোপালায় ) নমঃ
চন্দন নিয়ে এষঃ গন্ধঃ ক্লীং
কৃষ্ণায় (গোপাল হলে
গোপালায়) নমঃ ।
অনেক গুলো ফুল নিয়ে এতানি পুষ্পানি
ক্লীং কৃষ্ণায় (গোপাল হলে গোপালায় )নমঃ
তিনটে তুলসী পাতা নিয়ে নমস্তে
বহুরূপায় বিষ্ণবে পরমাত্মনে স্বাহা এতানি সচন্দন তুলসী পত্রানি ক্লীং কৃষ্ণায় (গোপাল হলে গোপালায় )নমঃ
ধুপ নিয়ে এষঃ ধূপ ক্লীং কৃষ্ণায় (গোপাল হলে গোপালায়) নমঃ
এষঃ দীপ ক্লীং কৃষ্ণায় (গোপাল হলে
গোপালায়) নমঃ
যারা নৈবেদ্য নিবেদন যানেন তারা সেই
পদ্ধতিতে করবেন সাধারণ ব্যক্তি
এতদ নৈবেদ্যং ক্লীং কৃষ্ণায় নমঃ
(গোপাল হলে গোপালায় নমঃ) বলে নৈবেদ্যের ঊপর কোশার জলের ছিটা দেবে
পানার্থ জল এতদ পানার্থোদকম ক্লীং
কৃষ্ণায় নমঃ (গোপাল হলে গোপালায় নমঃ) গ্লাসের জলে কোশার জলের ছিটা
কুশীতে জল লইয়া ইদম পুনরাচমনীয়ম ক্লীং
কৃষ্ণায় নমঃ (গোপাল হলে গোপালায় নমঃ)
জপ মন্ত্র – ওঁ ক্লীং কৃষ্ণায় নমঃ
অথবা ওঁ ক্লীং গোপালায় নমঃ
জপ বিসর্জন
গুহ্যাতিগুহ্যগোপ্তা ত্বং
গৃহাণাস্মৎকৃতং জপম্ ।সিদ্ধির্ভবতু মে দেব ত্বৎপ্রসাদাত জনার্দন। ।
পুষ্পাঞ্জলী:
হে কৃষ্ণ জনতাং নাথ ভক্তানাং ভয় ভঞ্জন।
প্রপন্নোভব মামীশে দেহিসান্য পদাম্বুজে।
এষ সচন্দন তুলসী পত্র পুষ্পাঞ্জলী ক্লীং কৃষ্ণায় (গোপালায়) নমঃ ।
হে দেব হে দয়িত হে জগদেব বন্ধো হে কৃষ্ণ হে চপল হে করূনৈব সিন্ধো।।
হে নাথ হে রমন হে নয়নাভিরাম।।।
হাহা ফদানু ভাবিতাসি পদং দৃশোর্ম।
এষ সচন্দন তুলসী পত্র পুষ্পাঞ্জলী ক্লীং কৃষ্ণায় (গোপালায়) নমঃ
নথাস্যামি গৃহং নাথ ন গৃহ্নামিধনং তব।
কৃত্বা মাং রক্ষ পাদাব্জে সেবায়াং
সেবকং কৃতয় সচন্দন তুলসী পত্র পুষ্পাঞ্জলী ক্লীং কৃষ্ণায় নমঃ (গোপাল হলে
গোপালায় নমঃ) ।
প্রণাম
ওঁ যোগেশ্বরায় দেবায় দেবকীনন্দনায় চ।
যোগোদ্ভবায় নিত্যায় গোবিন্দায় নমো নমঃ ।
নীলোত্পল দল শ্যামং যশোদা নন্দ নন্দনম।
গোপিকানয়নানন্দং গোপালং প্রনমাম্যহম ।
হা কৃষ্ণ করূনা সিন্ধু দীনবন্ধু জগৎপতে গোপেশ গোপিকাকান্ত রাধাকান্ত নমোহস্ততে।।
এবারে কৃতাঞ্জলী ক্লীং শ্রীকৃষ্ণ দেবতায়া আবরন দেবতাগন ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহ সন্নিধেহি ইহ সন্নিধেহি ইহ সন্নিরুধ্যস্ব অত্রাধিষ্ঠানং কুরূ মম পুজা গৃহান ।
এবারে নীচের দেবতাদের ফুল দিয়ে পুজো
এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীকৃষ্ণ দেবতায়া ষডঙ্গ দেবতাভ্য নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীয়ৈ নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে বসুদেবায় নমঃ ।
এতে গন্ধপুষ্পে যশোদায়ৈ নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে নন্দায় নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে রোহিনৈ নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে চন্ডিকায়ৈ নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে দক্ষায় নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে গর্গায় নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে , চতুর্মুখায় নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে বলভদ্রায় নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে সুভদ্রায়ৈ নমঃ ।
নামাষ্টক পুজো
এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীকৃষ্ণায়,নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে বাসুদেবায়,নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে নারায়ণায় নমঃ ।এতে গন্ধপুষ্পে দেবকীনন্দনায় নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে , যদুশ্রেষ্ঠায়,নমঃ ।
এতে গন্ধপুষ্পে বার্ষ্ণেয়ায় নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে অসুরাক্রান্তভারহারিনে নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে ধর্মস্থাপকায় নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে নারদ ঋষয়ে নমঃ
যাদের বিগ্রহের সাথে শ্রীরাধা আছেন
তারা শ্রীরাধার ধ্যান করে পঞ্চোপচারে পুজো করবে ।
যাদের নেই তারা
এতে গন্ধপুষ্পে শ্রী রাধিকায়ৈ নমঃ
ষষ্ঠী পুজো
এতে গন্ধপুষ্পে ষষ্ঠ্যৈ নমঃ।
এবারে আরতি করবে ।।
অতঃপর ঘি ও গুড় মিশিয়ে বসুধারা
দেবে । এবারে ষষ্ঠীর পুজো করে ভগবানের নাড়িচ্ছেদ,
নামকরন, চুড়াকরন, উপনয়ন, বিবাহ চিন্তা করবে ।
অতঃপর শংখে পুষ্প কুশ চন্দন দূর্বা
অতপচাল ও নারিকেল জল নিয়ে চন্দ্রার্ঘ দেবে ।
ওঁ ক্ষীরোদার্ণবসম্ভূত অত্রিনেত্র
সমুদ্ভব। গৃহাণার্ঘ্য শশাঙ্কেশ রোহিন্যা সহিতোমম।জ্যোৎস্নাপতে নমস্তভ্যং নমস্তে
জ্যোতিষাংপতে।নমস্তে রোহিনী কান্ত অর্ঘ্য প্রতিগৃহ্যতাম। ইদং /এষ অর্ঘ্য চন্দ্রায়
নমঃ।।
প্রনাম – ওঁ জ্যোৎস্নায়া পতয়ে তুভ্যং জ্যোতিষাং পতয়ে নমঃ
।নমস্তে রোহিনী কান্ত সুধাবাস নমোহস্তু তে। নভোমন্ডলদীপায় শিরোরত্নায়
ধূর্জ্জটেঃ। কলাভির্বদ্ধমানায় নমশ্চন্দ্রায় চারবে।।
কৃষ্ণ নাম শ্রবন। ওঁ ব্রত কথা শ্রবন
করবে ।
ওঁ অনঘং বামনং শৌরিং বৈকুণ্ঠং পুরুষোত্তমম্।
বাসুদেবং হৃষীকেশং মাধবং মধুসূদনম্।
বরাহং পুন্ডরীকাক্ষ নৃসিংহং দৈত্যসুদনম্।
দামোদরং পদ্মনাভং কেশবং গরুড়ধ্বজম্।
গোবিন্দমচুতং কৃষ্ণমনন্তপরাজিতম্।
অধোক্ষজং জগন্নাথং স্বর্গস্থিত্যন্তকারিণম্ ॥
অনাদিনিধনং বিষ্ণুং ত্ৰিলোকেশং ত্রিবিক্রমম্।
নারায়ণং চতুৰ্ব্বাহু: শঙ্খচক্ৰগদাধরম্ ॥
পীতাম্বরধরং নিত্যং বনমালাবিভূষিতম্।
শ্ৰীবৎসাঙ্কং জগৎসেতুং শ্ৰীকৃষ্ণং শ্রীধরং হরিম ৷
প্ৰপদ্যেহহং সদা দেবং সৰ্ব্বকামার্থসিদ্ধয়ে।
প্রণমামি সদা দেবং বাসুদেবং জগৎপতিম্ ॥
প্রার্থনা মন্ত্র
ত্ৰাহি মাং সৰ্ব্বলোকেশ হরে সংসারসাগরাৎ ।
ত্রাহি মাং সৰ্ব্বপাপঘ্ন দুঃখশোকার্ণবাৎ প্রভো
সৰ্ব্বলোকেশ্বর ত্রাহি পতিতং যাঃ ভবার্ণবে।
দেবকীনন্দন শ্ৰীশ হরে সংসারসাগরাৎ ।
ত্ৰাহি মাং সৰ্ব্বদুঃখ্ন রোগশোকার্ণবাদ্ধরে ।
দুর্গাৎ তারয়সে বিষ্ণো যে স্মরন্তি সকৃৎ সস্কৃৎ।
সোহহং দেবাতিদুৰ্ব্বৃত্তস্ত্রাহি মাং শোকসাগরাৎ ।
পুষ্করাক্ষ নিমগ্নোহহং মায়াবিজ্ঞান সাগরে।
ত্রাহি মাং দেব দেবেশ ত্বত্তো নান্যোহস্তি রক্ষিত।।
যদ্বাল্যো যচ্চ কৌমারে বাৰ্দ্ধক্যে যচ্চ যৌবনে। তৎপুণ্যং বৃদ্ধিমাপ্নোতি পাপং হর হলায়ুদ্ধ।
হাতে জল লইয়া এতদ কর্ম ফলং
শ্রীকৃষ্ণার্পিতমস্তু
পরদিন প্রাতঃস্নানাদি নিত্যকৰ্ম্ম
করিয়া কৃষ্ণপূজা, দুর্গাপূজা,
নন্দোৎসব এবং কথা শ্রবণপূর্বক ব্রাহ্মণভোজনাদি করাবে ।
পরে “ওঁ সুবর্ণাদি চ যত্ কিঞ্চিৎ
কৃষ্ণো মে প্রীয়তাং হরে” বলিয়া ব্রাহ্মণদিগকে সুবর্ণাদি দক্ষিণা দিয়ে “যং দেবং
দেবকী দেবী বসুদেবাদজীজনৎ । ভেীমস্য ব্রহ্মণে গুপ্ত্যৈ তস্মৈ ব্ৰহ্মাত্মনে নমঃ ॥
সুব্রহ্মবসুদেবায় গোত্ৰাহ্মণহিতায় চ। শান্তিরস্তু শিবঞ্চাস্তু উক্ত বিপ্রান
বিসর্জয়েৎ ॥” এই বলিয়া ব্রাহ্মণদিগকে বিসর্জন করিবে অর্থাৎ বিদায় দিবে
সমর্পণমন্ত্র যথা –ওঁ ভূতায় ভূতেশ্বরায়
ভূতপতয়ে ভূতসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নম
পারণ মন্ত্র
–ওঁ সৰ্ব্বায় সৰ্ব্বেশ্বরায় সৰ্ব্বপতয়ে সৰ্ব্বসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ