Table Of Content (toc)
গীতা পাঠের সঠিক নিয়ম
গীতা পড়ার নিয়ম তথা পাঠ বিধি জানার জন্য অনেকেই উৎসুক হয়ে থাকেন । অনেকের প্রশ্নের কেন্দ্রবিন্দু থাকে গীতা পাঠের নিয়ম কি ?
তাই গীতা পাঠের নিয়ম সম্পর্কিত লিখার অনুপ্রেরনা পেলাম । প্রকৃতঅর্থে গীতা পাঠের নিয়ম থাকলেও গীতা অধ্যয়নের নিয়ম নেই । গীতা পাঠ হতে গীতা অধ্যয়নের গুরুত্ব সহস্রাধিক । কারন গীতাপাঠে কেবল পুন্য অর্জন হয় কদাপি সৃকৃতিও অর্জন হতে পারে কিন্তু গীতা অধ্যয়নে লাভ হয় প্রকৃত জ্ঞান, যা জন্ম মৃত্যুর বন্ধন থেকে আপনাকে মুক্ত করে কৃষ্ণসেবায় আপনাকে আকর্ষিত করবে ।
অঙ্গন্যাস করন্যাস
গীতার পাঠের প্রারম্ভে সবচেয়ে উত্তম হয় অঙ্গন্যাস করন্যাস করে পাঠ শুরু করা । এতে সর্বাধিক উত্তম হয় ।
তবে সাধারনত অষ্টাদশ অধ্যায় গীতাপঠ করার পুর্বে অঙ্গন্যাস করন্যাস করা হয় । যদি অঙ্গন্যাস করন্যাস করতে না পারেন তবে সমস্যা নেই, করলে ভালো ।
মঙ্গলাচরন
যারা অঙ্গন্যাস করন্যাস করবেন না তারা মঙ্গলাচরন পড়ে গীতাপাঠ শুরু করবেন । এটি অতি আবশ্যক।মঙ্গলাচরন বিহীন গীতাপাঠ হাত শৌচ বিহীন আহার করার সামিল । মঙ্গলাচরন আপনার চিত্তকে প্রশান্ত করতে ভুমিকা রাখে, চিত্ত শুদ্ধ করে এবং ভগবানের চিন্তায় নিমগ্ন করে গীতাপাঠের উপযুক্ত করে । তাই গীতা পড়ার পুর্বে মঙ্গলাচরন পড়া আবশ্যক ।
গীতার অধ্যায় পাঠ
এরপর মঙ্গলাচরন সমাপ্ত করে গীতাপাঠ করা শুরু করতে পারেন । যেকোন অধ্যায় পাঠ করতে পারেন সমস্যা নেই । তবে গীতাপাঠের সময় খেয়াল রাখতে হবে সংস্কৃতসহ বাংলা টাও যেন পড়া হয় কারন সংস্কৃত পড়লে আপনি কিছুই বুঝবেন না আর না বুঝে গীতাপাঠের মাহাত্ম্য ততটা নেই । তাই গীতাপাঠের সময় যেন বাংলা টা পড়তে হয় সেটা মাথায় রাখবেন ।
সংস্কৃত পড়াটা ততটা গুরুত্বপূর্ণ না যতটা না বাংলা অর্থ পড়াটা । এক অধ্যায় পুরোটা পাঠ করতে পারলে ভালো,নতুবা সুবিধামত যত ইচ্ছা শ্লোক পড়তে পারেন,সমস্যা নেই । এতে কোন বাধ্যবাধকতা নেই যে এক অধ্যায়ই পড়তে হবে যেটা অনেকেরই ভ্রান্ত ধারনা । সুবিধামত ১ শ্লোক পড়ুন,তাও বুঝে পড়ুন,সেটাই ফলপ্রদ ।
গীতা মাহাত্ম্য পাঠ
গীতাপাঠ শেষে মাহাত্ম্য অবশ্যই পাঠ করবেন।মাহাত্ম্য হলো গীতাপাঠের গুরুত্বের বর্ণনা । সুতরাং মাহাত্ম্য পড়াটা খুবই দরকার । মাহাত্ম্য ব্যতিত গীতাপাঠের ফল পাবেন না, যেটা গীতা মাহাত্ম্যেই উল্লেখ আছে ।
প্রণাম মন্ত্র
মাহাত্ম্য পাঠ শেষে শ্রীকৃষ্ণ প্রনাম মন্ত্র, রাধারানী প্রনাম মন্ত্র, আপন আপন গুরু প্রনাম মন্ত্র,গুরু প্রনাম মন্ত্র, তুলসী দেবীর প্রনাম মন্ত্র, পঞ্চতত্ত্ব প্রনাম মন্ত্র এবং শেষে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র বলে পাঠ সমাপ্ত করবেন ।