গণেশ চতুর্থী কেন পালন করা হয় ?
অগ্নি উবাচ...
চতুর্থীব্রতান্যাখ্যাস্যে ভুক্তি-মুক্তিপ্রদানি তে।
মাঘে শুক্লচতুর্থ্যান্তু উপবাসী যজেদগণম্ ॥
পঞ্চম্যাঞ্চ তিলান্নাদী বর্ষান্নির্বিঘ্নিতঃ সুখী।
গং স্বাহা মূলমন্ত্রোঽয়ং গামাদ্যং হৃদয়াদিকম্ ॥
আগচ্ছোল্কায় চাবাহ্য গচ্ছোল্কায় বিসর্জনম্।।
উস্কান্তৈৰ্গাদিগন্ধাদ্যৈঃ পূজয়েন্মোদকাদিভিঃ ॥
ওঁ মহোল্কায় বিদ্মহে বক্রতুণ্ডায় ধীমহি।
তন্নো দন্তী প্রচোদয়াৎ ।
মাসি ভাদ্রপদে চাপি চতুর্থীকৃচ্ছিবং ব্রজেৎ ।
চতুর্থঙ্গারকেঽভ্যর্চ্চ্য গণং সৰ্বমবাপ্নুয়াৎ ॥
চতুৰ্থাং ফাল্গুনে নক্তমবিঘ্নাখ্যা চতুৰ্থ্যপি।
চতুর্থাং দমনৈঃ পূজ্য চৈত্ৰে প্ৰার্চ্চ্য গণং সুখী ॥
(অগ্নিপুরাণ: ১৭৯.১-৫)
"অগ্নি বললেন,—ভুক্তিমুক্তিদায়ক চতুর্থীব্রতের মাহাত্ম্য কথা বর্ণনা করছি । মাঘ মাসের শুক্ল চতুর্থীতে উপবাসী হয়ে গণদেবতার পূজা করবে । পঞ্চমীতে তিলান্ন ভোজন করলে, বর্ষান্তে নির্দ্বিঘ্ন মুখলাভ হয়ে থাকে । "গং স্বাহা" এ মন্ত্রই গণদেবের পূজার মূলমন্ত্র । মূল মন্ত্রে "আগচ্ছোল্কায়" বলে আবাহন এবং "গচ্ছোল্কায়" বলে বিসর্জন করবে । মোদকাদি ও গন্ধাদি দান করে নিষ্ঠার সাথে পূজা করবে । ভাদ্রমাসের চতুর্থী করলে, সাযুজ্য লাভ হয় । তৎকালে চতুর্থীস্থ অঙ্গারকে গণপূজা করলে, সকল সিদ্ধি লাভ হয় । ফাল্গুন মাসের চতুর্থীকে 'অবিঘ্নাখ্যা চতুর্থী' বলে । চৈত্র মাসের চতুর্থীতে ইন্দ্রিয় দমন করে গণদেবতার পূজা করলে সুখ লাভ হয় ।"