জন্মাষ্টমী পালন করার নিয়মাবলী
প্রথম কথা হলো উপবাস শুরু থেকে পারণ করার আগ প্রযর্ন্ত পঞ্চরবিশস্য (ধান, মুগ, মাষ, যব, তিল বা শ্বেত সরিষা) গ্রহন করা যাবে না ।
এখানেঃ জন্মাষ্টমীর পারণ মন্ত্র
জন্মাষ্টমী পূজোর পদ্ধতিঃ-
– এ দিনে শ্রী কৃষ্ণকে দুধ ও গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করিয়ে অভিষেক করানো উচিত। এদিন নতুন রঙবেরঙের পোশাক পরানো হয়ে থাকে।
-এরপর ময়ূরের পালক, বাঁশি, মুকুট, চন্দন, তুলসী পাতা ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়।
-এরপর ফল, ফুল, মাখন, দই, চিনি, মিষ্টি, শুকনো ফল ইত্যাদি নিবেদন করা উচিত।
-বাড়িতে গোপালঠাকুরের অভিষেক করতে চাইলে দুধ, চিনি, দই, ঘি, মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণ করা উচিত।
-তারপর শ্রীকৃষ্ণের সামনে একটি প্রদীপ জ্বালাত হবে।
-শেষে, শ্রী কৃষ্ণের শৈশব রূপের মূর্তিকে আরতি করে ও নাম জপ করে সকলের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করে দিন।
জন্মাষ্টমীতে নাড়ু গোপালকে পঞ্চামৃত দিয়ে অভিষেক করে তাঁর বিশেষ শৃঙ্গার করা হয়। তার পর তাঁর প্রিয় মাখনমিশ্রীর ভোগ নিবেদন করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের বালক রূপের পূজো করলে সন্তান সুখ লাভ করা যায়।
উপবাসের পূর্বদিন
- নিরামিষ ভোজন করতে হবে।
- একবেলা অন্নগ্রহন করতে হবে, এতে অসমর্থ হলে নিরামিষ ভোজন যথেষ্ট।
- রাতে ব্রাশ করতে হবে।(যাতে মুখে দাতে কোন খাদ্য কনা না থাকে)
- সহবাস নিষিদ্ধ ।
উপবাসের দিন
- সকালে উঠে স্নান করে পরিষ্কার ও ধোয়া কাপড় পরতে হবে ।
- তেল মাখা, দিবা নিদ্রা, সহবাস, পাশা জুয়া খেলা, নেশা করা, বিলাসি বেশ ভূষা সম্পূর্ণ বর্জনীয় ।
- হরিনাম-সংকীর্ত্তন, জপ-কীর্ত্তন, শাস্ত্র অধ্যায়ন করা, সুযোগ হলে শ্রীকৃষ্ণ জন্মলীলা পাঠ বা শ্রবণ করা কর্তব্য ।
- মধ্যরাত ( ১২ টা) পর্যন্ত নির্জলা উপবাস । তবে সার্মথ্য অনুযায়ী পারন পর্যন্ত নির্জলা ব্রতের বিধান রয়েছে । রাত ১২ টায় ভগবান গোপাল বিগ্রহের অথবা চিত্রপটের অভিষেক অর্থাৎ স্নান করিয়ে, ভগবানকে শৃঙ্গার করে, নৈবদ্য প্রদান করে, পুজা করা শেষ হলে আমরা ফল, জল, দুধ ও ভগবানকে ভোগ দেওয়া সবজি-প্রসাদ ইত্যাদি অনুকল্প প্রসাদ পেতে পারি ।
উপবাসের পরের দিন
- যথাসময়ে ভগবান কে ভোগ নিবেদন করে পারন করতে হবে। অবশ্যই পরের দিন নিরামিষ এক আহার বা অসমর্থ হলে অধিক আহার করবেন ।