Image Credit : Ajob Kahini Puran Youtube Channel |
Table of Content (toc)
হিন্দু পুরাণের সবচেয়ে শক্তিশালী ৮ জন দেবতা
৭. যমদেব
যমরাজ হচ্ছেন ভগবান ব্রহ্মার তৈরি প্রথম মানব যিনি মৃত্যুকে জয় করেছেন । যমদেবের প্রসিদ্ধ মন্দির তামিলনাড়ুতে রয়েছে । হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুসারে যম সূর্যদেবের পুত্র ।
৬. সূর্যদেব
হিন্দুপুরাণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেবতা হচ্ছেন ভগবান সূর্যনারায়ণ । ইনি আলোক, দিবস ও প্রজ্ঞার দেবতা । তার প্রধান অস্ত্র দন্ড দিয়ে তিনি বহু অসুর দমন করেছেন ।
৫. ইন্দ্র - God Of Thunder
ইন্দ্র বেদ অনুসারে হিন্দু দেবতাদের রাজা ছিলেন । বিদ্যুৎ ঝড়-বৃষ্টি এবং নদীর দেবতা ছিলেন । স্বর্গে ইন্দ্রদেবের রাজ চলে । সমুদ্রমন্থনের সময় সেখান থেকে উৎপন্ন একটি ঐরাবত হাতি ছিল ইন্দ্রের বাহন । তার সবথেকে শক্তিশালী অস্ত্র হলো বজ্র । মহাযোদ্ধা ইন্দ্র বিত্র নামক দৈত্যের বধ করে এই বিশ্বে বৃষ্টি এবং রৌদ্ররূপে হরিয়ালি ফিরিয়ে এনেছিলেন ।
৪. শ্রী গনেশ
ভগবান গণেশের ভারত-নেপাল এবং শ্রীলঙ্কায় প্রচুর ভক্ত রয়েছে । শুধু হিন্দু ধর্মে নয় জৈন এবং বৌদ্ধ ধর্মে শ্রী গণেশ কে পুজো করা হয় । শ্রী গণেশ পথে আসে যে কোনো বিঘ্ন কে দূর করে দিতে পারেন । সিদ্ধিদাতা গণেশকে হিন্দু ধর্মে সবথেকে প্রথমে পুজো করা চল রয়েছে । পুরাণ অনুসারে শ্রীগনেশ ভগবান শিবের পুত্র । ভগবান গনেশ সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন । তিনি বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরামকেও যুদ্ধে পরাজিত করেছিলেন ।
৩. শ্রী হনুমান
শ্রীরামের ভক্ত হনুমান প্রচন্ড শক্তিশালী ছিলেন । হনুমানজি কে ভগবান শিবের অবতার বলে মনে করা হয় । অঞ্জনা ও কেশরী পুত্র হনুমান বায়ুপুত্র বলা হয়ে থাকে । কারণ বায়ু দেব তার জন্মে ভূমিকা পালন করেছিলেন । হনুমানজি তার আকার যে কোন জিনিসে বদলে ফেলতে পারেন । নিজেকে সূক্ষ্ম রূপে ধারণ করা থেকে হিমালয় পর্বত ওঠানো যেকোনো কাজেই তিনি পারদর্শী ছিলেন । হনুমানকে দেব-দেবীরা এত অস্ত্র এবং আশীর্বাদ দিয়েছিলেন যে তাকে যুদ্ধে হারানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল ।
২. ব্রহ্মাদেব
ভগবান ব্রহ্মা এই বিশ্বজগৎ তৈরি করেছিলেন । তিনিই বিশ্বের রচয়িতা ছিলেন তার চার মুখ চার দিশায় রয়েছে । ব্রহ্মা ত্রিমূর্তি দের মধ্যে একজন । ব্রহ্মার উৎপত্তি শ্রীবিষ্ণুর নাভিকমল থেকে হয়েছিল । ভগবান ব্রহ্মার তিনটি মহাবিধ্বংসী অস্ত্রগুলো যথাক্রমে ব্রহ্মাস্ত্র, ব্রহ্মশীর ও ব্রহ্মদন্ড ।
৭. ভগবান শিব/শ্রী হরি
তালিকার সবথেকে শক্তিশালী দেবতার মধ্যে একজন থাকতেই পারেন না । এরা দুজন হলেন ভগবান শিব ও ভগবান বিষ্ণু । হরি ও হর একই সূত্রে গাথা । এরা শক্তির দিক থেকে কেউ কারোর থেকে কম নয় । সৃষ্টির সবথেকে শক্তিশালী অস্ত্র তাদের কাছেই আছে । শ্রী হরির মহাশক্তিশালী অস্ত্রগুলো হলো : কোদন্ড (ধনুক), কৌমুদকী, নারায়ণ অস্ত্র, বৈষ্ণব অস্ত্র এবং সুদর্শন চক্র । আর ভগবান শিবের অস্ত্রগুলো যথাক্রমে : পিনাক, পাশুপাত, ত্রিশূল ইত্যাদি । এদের দুজনেরই মূল উদ্দেশ্য একই । তা হলো সংসারের মঙ্গল করা । হরি ও হর দুজনেই এক, তাদের শক্তিও এক এবং তাদের উদ্দেশ্যও এক । তাই এদের পরস্পরের সাথে শক্তির তুলনা করা একেবারে অনর্থকই নয় বরং চরম মূর্খামি ।
আমি সমস্ত বৈষ্ণব এবং শৈবদের উদ্দেশ্যে বলব - নিজেদেরকে বৈষ্ণব, শৈব অথবা শাক্ত না বলে হিন্দু হিসেবে পরিচয় গড়ে তুলুন । হিন্দুধর্মের মধ্যে আর বিভেদ সৃষ্টি করবেন না । এখন সময় এক হবার, এক হয়ে পথ চলার ।
আরও পড়ুন :
পূজা-পার্বণ বলতে মূলত কি বোঝানো হয়
হিন্দুধর্ম সম্পর্কে বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি
প্রাচীনকালে মুনি-ঋষিরা কি মাংস ভক্ষণ করতেন ?