মহাভারত রচনা করেন কে ?
মহাভারতের রচয়িতা মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস । বেদব্যাস প্রথমে কুরু-পান্ডবের যুদ্ধে পান্ডবদের জয়সূচক 'জয়' নামক এক ঐতিহাসিক কাব্য রচনা করেন । তাই মহাভারতের আদি নাম হলো জয় । বৈশম্পায়ন তাকে বাড়িয়ে নাম দেন 'ভারত' । অবশেষে সৌতি এখানে আরো কথার সমাবেশ ঘটিয়ে নামকরণ করেন "মহাভারত" ।
মহাভারত রচনার কাহিনী অতিব বিচিত্র । মহারাজ পরীক্ষিতের পুত্র জনমেজয় একবার ব্রহ্মহত্যা করে বসেন ।
"দ্বিজ ক্ষত্র বৈশ্য শুদ্র ছিল যত জন ।
সবে গেল একমাত্র রহিল রাজন ।।
তখন রাজা জনমেজয় বড় অনুতপ্ত হলেন । এই সময় মুণিশ্রেষ্ঠ ব্যাসদেব তখন তার সভায় আগমন করলেন । এবং বললেন :
"ব্রহ্মবধ-আদিপাপ সব হৈবে ক্ষয় ।
অশ্বমেধ ফল পাবে নাহিক সংশয় ।।
এক লক্ষ শ্লোকে মহাভারত রচন ।
শুচি হইয়া একমনে করহ শ্রবণ ।।"
সরলার্থ : হে মহারাজ জনমেজয়, আপনি যদি শুদ্ধচিত্তে মহাভারত শ্রবণ করেন তাহলে আপনার ব্রহ্মহত্যার পাপ তো দূরীভূত হবেই, সেইসাথে আপনি একটি অশ্বমেধ যজ্ঞের ফলও লাভ করতে পারবেন ।
মহাভারতের প্রচার-প্রসার
অতঃপর মুণি তার শিষ্য বৈশম্পায়নের নিকট জনমেজয়কে মহাভারত আখ্যান শ্রবণ করতে বললেন । মহারাজ জনমেজয় তখন মহাভারত শ্রবণ করতে লাগলেন । সেই সময় জনমেজয়ের সভায় উপস্থিত ছিলেন লোমহর্ষণ মুণির পুত্র সৌতি । তিনিও বৈশম্পায়নের মুখে মহাভারত শুনলেন ।
ঋষি সৌতি আবার নৈমিষারণ্যে অবস্থানরত বহু মুণি-ঋষিদের মাঝে বৈশম্পায়ন কথিত মহাভারত বর্ণনা করেছিলেন । অতএব এটা বলা যায় যে মহাভারতের আদি রচয়িতা ব্যাসদেব হলেও এর প্রবক্তা বৈশম্পায়ন এবং প্রচারক সৌতি মুণি ।
আরও পড়ুন :