বেদাঙ্গ বলতে কি বোঝায়
বৈদিক সাহিত্যের বিশালতা এতটাই ছিল যে, একে ভালোভাবে জানা ও পড়ার জন্য কয়েক রকম শাস্ত্র রয়েছে । যেগুলো অবশ্যপাঠ্য ।
এগুলোকেই বলা হয় বেদাঙ্গ । বেদাঙ্গ হচ্ছে বেদ পাঠের সহায়ক শাস্ত্র ।
বেদাঙ্গ কত প্রকার ও কি কি ? ।
যথা :
১. শিক্ষা
২. কল্প
৩. ব্যাকরণ
৪. নিরুক্ত
৫. ছন্দ
৬. জ্যোতিষ
শিক্ষা
শিক্ষা শব্দটি এখানে সামগ্রিকভাবে বিদ্যার্জন বা জ্ঞানার্জন অর্থে ব্যবহৃত হয় নি । 'শিক্ষা' বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে ধ্বনিতত্ত্ব, বিশেষ করে উচ্চারণতত্ত্ব । অর্থাৎ নির্ভুলভাবে বৈদিক শব্দ উচ্চারণের পদ্ধতি ।
কল্প
যজ্ঞাদি যার দ্বারা কল্পিত ও সমর্থিত হয় তাকে কল্প বলা হয়ে থাকে । 'কল্প' হচ্ছে নির্ভুলভাবে বৈদিক যাগযজ্ঞ ও ক্রিয়াকান্ড অনুষ্ঠানের পদ্ধতি ।
ব্যাকরণ
ব্যাকরণে ভাষাকে বিশ্লেষণ করে সূত্রায়িত করা হয় এবং শব্দের ব্যুৎপত্তি নির্ণয় করা হয় । ভাষা ব্যবহারের সময় তার অর্থশুদ্ধির জন্য ব্যাকরণ পাঠ করা প্রয়োজন । সেই কারণে ব্যাকরণকেও বেদাঙ্গের স্থানে রাখা হয়েছে ।
নিরুক্ত
নিরুক্ত নামক বেদাঙ্গে বেদে ব্যবহৃত শব্দাবলীর উৎপত্তি, অর্থ ও অর্থান্ত প্রভৃতির আলোচনা করা হয়েছে ।
ছন্দ
ষড়ঙ্গ বেদান্তের অন্যতম অঙ্গ হচ্ছে ছন্দ । বেদের যে সকল মন্ত্র ছন্দবদ্ধ, সেগুলোর অর্থবোধ ও যথাযথ আবৃত্তির জন্য ছন্দের জ্ঞান থাকা অপরিহার্য ।
জ্যোতিষ
বৈদিক যুগে বিশেষ বিশেষ তিথি-নক্ষত্রে বিশেষ বিশেষ বৈদিক যাগ যজ্ঞ করার ব্যবস্থা ছিল । যজ্ঞে ফলসিদ্ধির জন্য জ্যোতিষ আবশ্যক ।
আরও পড়ুন