ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি

11
ইসলাম সম্পর্কে বিখ্যাত মনিষীদের অভিমত

ইসলাম সম্পর্কে বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি

Table of Content (toc)


উইলিয়াম ম্যূর

“কোরাণ ও ইসলামের তরবারী মানবসভ্যতা, স্বাধীনতা ও সত্যের সবচেয়ে বড়াে শত্রু, যা আজ পর্যন্ত মানুষ দেখেছে ।


ডক্টর রাধেশ্যাম ব্রহ্মচারী

“জিহাদ হল, পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত যত রকম বর্বরতার অনুষ্ঠান হয়েছে তার মধ্যে বর্বরতম ও সর্বাপেক্ষা পাশবিক হত্যালীলা । তিনটি ইংরেজী শব্দের মাধ্যমে জিহাদের বর্বরতাকে প্রকাশ করতে সুবিধা হয়, তাহল by Sword, fire and rape বা তরবারী, আগুন ও ধর্ষণের মধ্য দিয়ে নারী, শিশু, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা নির্বিশেষে কাফের হত্যা করে তাদের সহায় সম্বল, ধন-দৌলত লুটপাট করে তাদের জায়গা দখল করার নামই জিহাদ ।"

(ইসলামের তিন সিদ্ধান্ত, পৃষ্ঠা-৭)


আনোয়ার শেখ

“ইসলাম এমন একটা ধর্মবিশ্বাস যা সমস্ত মানবজাতিকে দুটি চির বিবদমান জাতিগােষ্ঠীতে ভাগ করে দিয়েছে । একদল যারা আল্লার দল অর্থাৎ মুসলমানরা; আরেক দল হল শয়তানের দল অর্থাৎ সব অমুসলমানরা । অমুসলমানদের পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলাটা ইসলামে এতই জরুরী যে ইসলাম তার অনুগামীদের অর্থাৎ মুসলমানদের এর জন্য অমুসলমানদের হত্যা, লুণ্ঠন ও অমুসলমান নারী অপহরণকেই সর্বাপেক্ষা বড় ধর্মীয় কর্তব্য বলে শিখিয়েছে; এসবই ইসলামে ‘জেহাদ’ নামে পরিচিত এবং এসব কুকর্ম করেই কেবল মুসলমানরা স্বর্গে যাওয়া নিশ্চিত করতে পারে ।”


“ইসলাম কোন ধর্ম নয়, ইসলাম হচ্ছে আরব সাম্রাজ্যবাদ । ”

উইলিয়াম গ্লাডস্টোন

"যতদিন কোরান আছে, ততদিন পৃথিবীতে শান্তি নেই" (১৪০৯ শকাব্দের শ্রাবণ সংখ্য বিশ্ব হিন্দুবার্তার ১৭ নং পৃষ্ঠা)


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“পৃথিবীতে দুটো ধর্ম সম্প্রদায় আছে, অন্য ধর্মমতের সঙ্গে যাদের বিরুদ্ধতা অতুগ্র, সেটি হচ্ছে হচ্ছে খ্রিস্টান আর মুসলমান ধর্ম । তারা নিজেদের ধর্মকে পালন করে সন্তুষ্ট নয়, অন্য ধর্মকে হত্যা করতে উদ্যত । এজন্য তাদের ধর্ম গ্রহণ করা ছাড়া তাদের সঙ্গে মেলার অন্য উপায় নেই।”

“দেশের অসীম দুর্গতির কথায় মন যখন উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে তখন চুপ করতে থাকতে পারিনে । ধর্মে ও নিরর্থক আচারে হিন্দুকে শতধা বিভক্ত করে রেখেছে । বিদেশির হাতে তাই পরাভাবের পর পরাভব ভােগ করে আসছি । অন্তঃশক্র এবং বহিঃশত্রুদের হাতে মার খেয়ে খেয়ে আমাদের হাড় জীর্ণ । মুসলমান ধর্মে এক, আচারে এক, বাংলার মুসলমান, মাদ্রাজের মুসলমান এবং ভারতবর্ষের বাইরের মুসলমান, সমাজে সবাই এক, বিপদে-আপদে সবাই এক হয়ে দাঁড়াতে পারে, এদের সঙ্গে ভাঙাচোরা হিন্দুজাত পারবে না । আরও একবার পাঠানদের হাতে কানমলা খাওয়ার দিন ঘনিয়ে আসছে ।
তুমি তাে সন্তানের জননী, হিন্দু সমাজের ভবিষ্যৎ তােমার ছেলেমেয়েদেরদুর্বল স্কন্ধে চাপিয়ে একদিন তুমি চলে যাবে । কিন্তু তার কি ভবিষ্যৎ ভেবে দেখাে ।”
(১৯৩৩ সালের ১৬ অক্টোবর হেমন্তবালা সরকারকে রবীন্দ্রনাথের পত্র, বাংলা সাপ্তাহিক স্বস্তিকার ২১-৬-১৯৯৯ সংখ্যায় উদ্ধৃত)


“মুসলমান যখন কোনাে উদ্দেশ্য নিয়ে মুসলমান সমাজকে ডাক দিয়েছে, সে কোনাে বাধা পায়নি-এক ঈশ্বরের নামে ‘আল্লা হাে আকবর’ বলে সে ডেকেছে । আর আজ আমরা যখন ডাকব ‘হিন্দু এসাে’—তখন কে আসবে ? আমাদের মধ্যে কত ছােটো ছােটো সম্প্রদায়, কত গণ্ডী, কত প্রাদেশিকতা—এগুলো উত্তীর্ণ হয়ে কে আসবে । কত বিপদ গিয়েছে । কই একত্র তাে হইনি ।


বাহির থেকে প্রথম আঘাত নিয়ে এল মহম্মদ ঘােরী । কই একত্র তাে হইনি। বাহির থেকে যখন প্রথম আঘাত নিয়ে এল মহম্মদ ঘােরী তখন হিন্দুরা সে আসন্ন বিপদের দিনেতেও তাে একত্র হয়নি। তারপর যখন মন্দিরের পর মন্দির অষ্টতেলাগল, দেবমূর্তিচূর্ণ হতে লাগল, তখন তারা (হিন্দুরা) লড়েছে, মরেছে, খণ্ড খণ্ড ভাবে যুদ্ধ করে মরেছে । তখনও একত্র হতে পারল না । খণ্ডিত ছিলাম বলেই মেরেছে, যুগে যুগে এই প্রমাণ আমরা দিয়েছি ।

“পাপের প্রধান আশ্রয় দুর্বলের মধ্যে । অতএব যদি মুসলমান মারে আর আমরা পড়ে পড়ে মার খাই তবে জানব, এ সম্ভব করেছে শুধু আমাদের দুর্বলতা । আপনার জন্যেও, প্রতিবেশীর জন্যেও আমাদের নিজেদের দুর্বলতা দূর করতে হবে । আমরা প্রতিবেশীদের (মুসলমানদের) কাছে আপিল করতে পারি, তােমরা দূর হয়াে না, তােমরা ভালাে হও, নরহত্যার উপরে কোন ধর্মের ভিত্তি হতে পারে না ।
-কিন্তু সে আপিল দুর্বলের কান্না । বায়ুমণ্ডলের বাতাস লঘু হয়ে এলে ঝড় যেমন আপনিই আসে, ধর্মের দোহাই দিয়ে কেউ তাকে বাধা দিতে পারে না, তেমনি দুর্বলতা পুষে রেখে দিলে সেখানে অত্যাচার আপনিই আসে-কেউ বাধা দিতে পারেনা । কিছুক্ষণের জন্য হয়তাে একটা উপলক্ষ নিয়ে পরস্পর হিন্দু-মুসলমান কৃত্রিম বন্ধু বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারি, কিন্তু চিরকালের জন্য তা হয় না । যে মাটিতে কণ্টকতক ওঠে সে মাটিকে যতক্ষণ শােধন না করা হয় ততক্ষণ তাে কোন ফল হবে না ।”
(মাঘ ১৩৩৩ সালে রবীন্দ্রনাথ লিখিত স্বামী শ্ৰদ্ধানন্দ প্রবন্ধের অংশ যা কালান্তর গ্রন্থে স্থান পেয়েছে।)

“যখন দুই-তিনটি বিভিন্ন মতবাদ এসে দাবি করে আমাদের মতবাদই একমাত্র সত্য, অন্য সব মিথ্যা, আমাদের ধর্মকে স্বীকার করাই স্বর্গে যাওয়ার একমাত্র পথ, তখন সংঘর্ষ অনিবার্য । এভাবে ধর্মান্ধতা অন্য সব ধর্মকে উচ্ছেদ করতে উদ্যত হয় । একেই বলা যায় ধর্মজগতে বলশেভিকবাদ । পৃথিবী সংকীর্ণতা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে একমাত্র হিন্দু প্রদর্শিত পথেই (রবীন্দ্রনাথ লিখিত পরিচয় গ্রন্থে আত্মপরিচয় প্রবন্ধ)

স্বামী বিবেকানন্দ

“এ বিষয়ে মুসলমানরা অত্যন্ত স্থূলদৃষ্টিসম্পন্ন এবং সাম্প্রদায়িক মনােভাবাপন্ন । তাদের সিদ্ধবাক্য শুধু একটিই : “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মহম্মদুর রসুলুল্লাহ । অর্থাৎ ঈশ্বর মাত্র একজনই এবং মহম্মদই তার রসুল (প্রতিনিধি) । এই সিদ্ধবাক্যের বাইরে আর যা কিছু আছে সবই নিকৃষ্ট বস্তু এবং অবিলম্বে সেগুলিকে ধ্বংস করে ফেলতে হবে এই হল মুসলমানদের কথা । এ কথায় যে বিশ্বাস করে না, সে পুরুষই হােক কিংবা নারীই হােক, মুহূর্তের হুঁশিয়ারি দিয়েই তাকে হত্যা করা হবে; যা কিছু এই উপাসনা পদ্ধতির অন্তর্গত নয় তাকে মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করতে হবে এবং এই বিশ্বাসের সঙ্গে মতে মিলছে না এমন যত গ্ৰন্থ আছে সেগুলােকে দগ্ধ করতে হবে । প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শুরু করে অতলান্তিক মহাসাগর পর্যন্ত পাঁচশত বর্ষব্যাপী পৃথিবীর বুকে এই এক কারণে রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছে । এই হল ইসলাম ।”
(ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসাডেনার শেক্সপীয়ার ক্লাবে ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯০০ সালে প্রদত্ত ভাষণের রামকৃষ্ণমিশন স্বীকৃত বঙ্গানুবাদ। মূল ভাষণটি টিচার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড নামে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রকাশনা বিভাগ অদ্বৈত আশ্ৰম কর্তৃক ১৯৭১ সালে মায়াবতী মেমােরিয়াল সংস্করণের চতুর্থ খণ্ডের ১২৬ পৃষ্ঠা)

“যে ঈশ্বর (আল্লা) নিজের ধর্মের লােকদের পক্ষপাতিত্ব করে মানুষ বলে এবং অন্যদের নিষ্ঠুরভাবে ঘৃণ্য পশু বলে গণ্য করে, সে একজন শয়তানের থেকেও অধম । এই রূপ ঈশ্বরকে উপাসনা করার থেকে বরং আমি একশােবার মৃত্যুবরণ করতে প্রস্তুত । আমি সারাজীবন এই ঈশ্বরের বিরূদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাব ।”

যদুনাথ সরকার

"নির্দোষ হলেও অমুসলমানকে হত্যা করা ইসলামে একটা কৃতিত্ব বলে মনে করা হয় । মুসলমানের পক্ষে (আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য) নিজের কুপ্রবৃত্তি দূর করা বা আত্মিক উন্নতি করা নিস্প্রয়োজন । তাকে কেবল প্রতিবেশী অমুসলিমদের হত্যা করতে হবে, তাদের জমি, ধন-সম্পদ ও স্ত্রীদের হরণ করতে হবে, কেবল এসব করেই একজন মুসলমান স্বর্গে যেতে পারে । ইসলাম এমন একটা ধর্ম যা লুন্ঠন ও হত্যার মতো পাপকে সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তব্য বলে মনে করে । সুতরাং এটা মানব সভ্যতার অগ্রগতি ও বিশ্বশান্তির পক্ষে বাধাস্বরূপ ।


মার্ক টোয়েইন

"এমনকি, সবচাইতে সামান্যতম বিষয়কে ইসলামী সংজ্ঞায়নের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করার মধ্যে দিয়েই ইসলামকে বোঝা যায়, কীভাবে তা মুসলমানদের মধ্যে স্বাধীন চিন্তার শেষ ফোঁটা প্রতিস্থাপিত করে নির্বোধ দাসত্ব সৃষ্টি করে। অবাক হবার কিছু নেই, মুহাম্মদের অনুসারীরা মানসিক বিকারগ্রস্থই হবে।"


এডলফ হিটলার

-দেখো, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের ভুল ধর্মটি রয়েছে। আমাদের কেন জাপানিদের ধর্মটি নেই? যেই ধর্মে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের নিয়ম আছে? খ্রিষ্ট ধর্মের চাইতে মুহাম্মদের ধর্মটাও আমাদের জন্য যথার্থ ছিল। কেন আমাদের এত বিনয়ী এবং দুর্বলতার সাথে খ্রিস্টান হতে হবে?
– এডলফ হিটলার

ফারেইদুন ফারুক'যাদ

কোরানের সবচেয়ে বড়ো অলৌকিকত্ব হচ্ছে, কোটি কোটি মুছলিম হয় কখনও কোরান পড়েনি, নয়তো পড়ে বোঝেনি, তবু তারা কোরানের বিষযবস্তুর সত্যতায় বিশ্বাস করে দৃঢ়তম প্রত্যয়ের সঙ্গে ।

     - Fereydoun Farrokhzad

(১৯৩৮-১৯৯২, ইরানীয় লেখক, কবি, গায়ক)



মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক

"ইসলাম- বর্বর অসভ্য বেদুইনদের এই দুর্বোধ্য ধর্মটি একটা পঁচা মৃতদেহের মত, যা আমাদের জীবনকে ক্রমশ বিষাক্ত করে তুলেছে।" Quotation derived from the book "Mustafa Kemal. La mort d'un Empire" by Jacques Benoist-Méchin, published 1954

ভলতেয়ার

"কোরান শিক্ষা দেয় ভয়, ঘৃণা এবং অন্যকে অবজ্ঞার, হত্যার, এই শয়তানের ধর্মটি প্রচার এবং সংরক্ষণের জন্য । এটা নারীর সম্পর্কে অত্যন্ত অবমাননামূলক ধারণা দেয়, মানুষকে শ্রেণীতে বিভক্ত করে, এবং রক্তের দাবী জানায়, আরও আরও রক্তের । Voltaire (1694-1788) Translation by SIMONXML from "ISLAM - Dem Untergang geweiht" by Thomas K. Luther

কার্ল মার্ক্স

"কোরআন পৃথিবীকে ইসলামে বিশ্বাসী এবং ইসলামে অবিশ্বাসী, মুসলমান এবং কাফের, এই দুই ভাগে বিভক্ত করে। ইসলামে অবিশ্বাসীরা হচ্ছে ‘হারবাই’, যাকে বলে শত্রু। ইসলাম কাফের জাতিসমূহকে তাচ্ছিল্য করে এবং ঘৃণা করে, যা মুসলমান এবং কাফেরদের মধ্যে চিরস্থায়ী শত্রুতাপুর্ণ মনোভাব সৃষ্টি করে। The declaration of war – History of the Eastern Question, Marx-Engels Collected Works, vol 10, p 170.

রোনাল্ড রেগন

"সম্প্রতি আমরা একটা ধর্মযুদ্ধের সম্ভাবনা দেখছি, আক্ষরিক অর্থেই--- কারণ মুসলমানরা তাদের জেহাদের মূল ধারণাতে ফিরে আসছে যে, খ্রীষ্টান ও ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে প্রাণ দেওয়াটাই তাদের স্বর্গে যাওয়ার উপায় ।" (১৭ নভেম্বর ১৯৮০ সালের টাইম পত্রিকায় ৩৭ পৃষ্ঠায় ' অ্যান ইন্টারভিউ উইথ রোনাল্ড রেগন')

মার্গারেট থ্যাচার

"আজকের দিনে বলশেভিজম - এর মতো চরমপন্থী ইসলামও একটা সশস্ত্র মতবাদ । এটা একটা আক্রমণাত্মক ধর্মতত্ত্ব যা সশস্ত্র, ধর্মান্ধ অনুগামীদের দ্বারা প্রসার লাভ করেছে । কমিউনিজমের মতো এটাকে দমন করার জন্যও সর্বাত্মক, দীর্ঘমেয়াদি রণনীতি প্রয়োজন । (১২ই ফেব্রুয়ারী, ২০০২ সালের, 'দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় মার্গারেট থ্যাচারের লেখা, " ইসলাম দ্য নিউ বলশেভিজম" প্রবন্ধ)

অ্যানি বেসান্ত

" ভারতের উপর যেসব আঘাত নেমে এসেছে, খিলাফত পরবর্তী দাঙ্গা তার অন্যতম উদাহরণ । অমুসলমানদের প্রতি মুসলমানদের ঘৃনা নগ্ন ও নির্লজ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে । তাদের তরবারীর ধর্মেকেই তারা তাদের রাজনীতির নিয়ামক করেছে । ভারতের স্বাধীনতার পর মুসলমানদের ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করার দুরভিসন্ধির কথাটা মাথায় রাখতে হবে ।" ("দ্য ফিউচার অফ ইন্ডিয়ান পলিটিক্স গ্রন্থের ৩০১-৩০৫ পৃষ্ঠা)


বি.আর.আম্বেদকর

“মুসলমানদের কাছে হিন্দুরা (সব অমুসলমানরাই) কাফের, (যারা ইসলাম মানে না) । একজন কাফের কখনও সম্মান পেতে পারে না । কাফেররা নিম্নজাত এবং মুসলমানশাসিত সমাজে প্রতিষ্ঠাহীন । সেই কারণে একটা কাফের-শাসিত রাষ্ট্র হল ‘দার-উল-হারব’অর্থাৎ মুসলমানদের কাছে যুদ্ধভূমি, যা কিনা যে-কোনাে উপায়ে মুসলমানদের জয় করতেই হবে এবং দার-উল-ইসলাম’-এ অর্থাৎ ইসলাম শাসিত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে । এর থেকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয় যে, কোনাে মুসলমান কখনওই কোনাে হিন্দু বা অমুসলমান শাসিত সরকার মেনে নিতে পারে না ।"

আম্বেদকর আরও বলেছেন (বঙ্গানুবাদ) :

“আমি বলতে পারি হিন্দু-মুসলিম ঐক্য অসম্ভব, এটাই সবচেয়ে বড়াে প্রমাণ এখনও পর্যন্ত, অন্তত যতটা বােঝা যাচ্ছে হিন্দু-মুসলিম ঐক্য মরীচিকার ন্যায় । আজ এটা সুদূর পরাহত, কল্পনারও অতীত ।”

(বি. আর আম্বেদকরের পাকিস্তান অব দ্য পার্টিশন অব ইণ্ডিয়া গ্রন্থের ১৮৭ পৃষ্ঠা)

ঋষি অরবিন্দ

২৩-৭-১৯২৩ তারিখে ঋষি অরবিন্দ বলেছেন (বঙ্গানুবাদ) :

“সহিষ্ণুতা যে ধর্মের মূল নীতি, তার সঙ্গে তুমি বন্ধুত্বপূর্ণভাবে বাস করতে পারবে । কিন্তু যে ধর্মের মূলনীতি ‘আমি তােমাকে সহ্য করব না’ তার সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস কীভাবে সম্ভব । এসব লােকের সাথে তুমি কীভাবে ঐক্য রাখবে ? হিন্দু-মুসলিম ঐক্য নিশ্চয় এইভিত্তিতে সম্ভব নয় যেমুসলমানেরা ক্রমাগত হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করবে, কিন্তু হিন্দুরা কেন মুসলমানকে ধর্মান্তরিত করবে না । এভাবে তুমি ঐক্য আনতে পারবে না । মুসলিমদের নিরীহ (Harmless) করে তােলার একটাই পথ,তা হল, তাদের ধর্মেরউপর থেকে অন্ধ বিশ্বাস ত্যাগ করাননা ।"

(এ. বি. পুরানি সংকলিত, শ্রী অরবিন্দ আশ্রম ট্রাস্ট কর্তৃক ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত ‘ইভনিং টকস উইথ শ্রী অরবিন্দ’ গ্রন্থের ২৯১ পৃষ্ঠা)


গুরু নানক

“সৈয়দ, শেখ, মুঘল, পাঠান প্রভৃতি সব মুসলমানই অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং হিন্দুদের প্রতি সীমাহীন অত্যাচার করেছে । মুসলমানেরা হিন্দুদের দেহ শকুনের মুখে ফেলে দিয়েছে, অনেক হিন্দুকে দেহে পেরেক পুতে বা জীবন্ত চামড়া ছাড়িয়ে হত্যা করেছে, কাউকে বা কুকুর দিয়ে খাইযেছে । যেসব হিন্দুরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকার করে তাদের নানাভাবে অত্যাচার করা হয় । যাগযজ্ঞ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল । সুন্দরী হিন্দু মেয়েদের বলপূর্বক অপহরণ করে মুসলমানদের হারেমে রাখা হয়েছিল । মুসলমান কাজীরা ঘুষ নিয়ে দিনকে রাত করে দিত ।

(নাকপ্রকাশ, প্রেমনাথ যােশী লিখিত, দিল্লীর রাষ্ট্রীয় হিন্দুমঞ্চের ১৯৯৮সালে প্রকাশিত প্যান ইসলামিজম (রােংলি ব্যাক গ্রন্থের ৮০ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত)

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

“বস্তুত মুসলমান যদি কখনও বলে—হিন্দুর সহিত মিলন করিতে চায়, সে যে ছলনা ছাড়া আর কি হইতে পারে ভাবিয়া পাওয়া কঠিন ।

একদিন মুসলমান লুণ্ঠনের জন্যই ভারতে প্রবেশ করিয়াছিল, রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিবার জন্য আসে নাই । সেদিন কেবল লুঠ করিয়াই ক্ষান্ত হয় নাই, মন্দির ধ্বংস করিয়াছে, প্রতিমা চূর্ণ করিয়াছে, নারীর সতীত্বহানি করিয়াছে, বস্তুত অপরের ধর্ম ও মনুষ্যত্বের উপরে যতখানি আঘাত ও অপমান করা যায়, কোথাও কোনাে সংকোচ মানে নাই ।

দেশের রাজা হইয়াও তাহারা এই জঘন্য প্রবৃত্তির হাত হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারে নাই । ঔরঙ্গজেব প্রভৃতি নামজাদা সম্রাটের কথা ছাড়িয়া দিয়াও যে আকবর বাদশাহের উদার বলিয়া এত খ্যাতি ছিল, তিনিও কসুর করেন নাই । আজ মনে হয় এ সংস্কার উহাদের মজ্জাগত হইয়া উঠিয়াছে ।”

রাজা রামমােহন রায়

“ওইসব দৈবী (হিন্দু ধর্মীয়) নির্দেশে আস্থা রাখার জন্য ইসলামধর্মীরা ব্রাহ্মণ জাতির (হিন্দুর) অনেক ক্ষতি করেছে, ও তাদের উপর অনেক নির্যাতন করেছে, এমনকি মৃত্যুভয়ও দেখিয়েছে, তবু তারা (হিন্দুরা) ধর্ম পরিত্যাগ করতে পারেনি । ইসলামানুবর্তীরা কোরানের পবিত্র শ্লোকের মর্মানুসারে (যথা-পৌত্তলিকদের যেখানে পাও বধ করও অবিশ্বাসীদের ধর্মযুদ্ধ (জিহাদ) করে বেঁধে আন এবং তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে মুক্ত করে দাও, বা বশ্যতা স্বীকার করাও) এগুলি ঈশ্বরের (আল্লার) নির্দেশ বলে উল্লেখ করে, যেন পৌত্তলিকদের (হিন্দুদের) বধ করা ও তাদের নানাভাবে নির্যাতন করা ঈশ্বরাদেশে অবশ্য কর্তব্য । মুসলমানদের মতে ওই ভেলিকদের মধ্যে ব্রাহ্মণেরাই সবচেয়ে পৌত্তলিক (ঘৃণ্য) । সেইজন্যই ইসলামানুবর্তীরা সর্বদাই ধর্মোন্মাদনায় মত্ত হয় এবং তাদের ঈশ্বরের (আল্লার) আদেশ মানবার উৎসাহে “বহু দেবদেবাদিদের” (অর্থাৎ হিন্দুদের) ও মেষ পয়গম্বরের (মহম্মদের) ধর্ম প্রচারে “অবিশ্বাসীদের” (অমুসলমানদের) বধ করতে ক্রটি করেনি।” (১৮০৪ সালে ফারসি ভাষায় রাজা রামমােহন রায় লিখিত তুহফ-উ-মুওয়াহিদ্দিন অর্থাৎ একেশ্বরবাদীদেরকে উপহার’ নামক গ্রন্থের শ্রী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ দাম কৃত বঙ্গানুবাদের ১৯৪৯ সালের প্রকাশিত প্রবন্ধের ব্রাহ্মণ্যধর্ম ও ইসলাম’ নামক অনুচ্ছেদ থেকে সংগৃহীত ।

( হরফ প্রকাশনীর ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত অখণ্ড রামমােহন রচনাবলীর ৭২৬-৭২৮ পৃষ্ঠা)


মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী

আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী বিস্তারিত আলােচনা করে বলেছেন:

“কুরাণ বিষয়ক আলােচনা সুধীগণের নিকট উপস্থিত করা হইল, এখন এই পুস্তক কিরূপ তাহা তাহারাই বিচার করুন । আমাকে কেহ জিজ্ঞাসা করিলে বলিব যে এই পুস্তক ঈশ্বরকৃত নহে তাে বটেই, কোনাে বিদ্বান ব্যক্তির রচিত জ্ঞানের পুস্তকও নহে । উহা (কোরাণ) মানবাত্মাকে পশুতুল্য করিয়া মানবজাতির মধ্যে শান্তিভঙ্গ, উত্তেজনা, উপদ্রব এবং দুঃখ বৃদ্ধি করে । আরও জানিবার বিষয় এই যে, কুরাণ পুনরুক্তি দোষের ভাণ্ডার স্বরূপ ।”

(আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী লিখিত সত্যার্থ প্রকাশের আর্যসমাজ প্রকাশিত বঙ্গানুবাদের চতুর্দশ অধ্যায়)

সুনীতিকুমার চট্রোপাধ্যায়

১৯৩৪ সালে ইসলামিক আগ্রাসনের মুখে হিন্দুসমাজের অসহায়তা দেখে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন :

“হয়তাে বা আমাদের হিন্দু ও ভারতীয় জাতিরও বিলােপ অবশ্যম্ভাবী । একটি জাতির বিলােপসাধন ২০০/৫০০বৎসরে হয়, আবার ৫০/১০০০ বৎসরেও হয়, উপস্থিত হিন্দু সমাজের অবস্থা দেখিয়া মনে হয় যে হিন্দুসমাজ ও হিন্দুজাতি বিশেষ করিয়া বাংলাদেশের হিন্দুসমাজ ও হিন্দুজাতি সমষ্টিগতভাবে যক্ষ্মা রােগগ্রস্ত হইয়াছে এবং রােগকে উপেক্ষা করিয়া এই সমাজ ও জাতি এখন মহােল্লাসে আত্মহত্যার পথে ধাবিত হইতেছে । একমাত্র ভগবান ইহাকে বাঁচাইতে পারেন ।”

(সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভারত সংস্কৃতি’)


মহাত্মা গান্ধী

“জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানরা কোনাে আগ্রহ দেখায়নি মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই অভিযােগ সত্য । তারা ভারতকে নিজের দেশ বলে মনে করে না ।”

Post a Comment

11 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
  1. AnonymousMay 15, 2021

    ঠিক কথা

    ReplyDelete
  2. যত্তসব বানোয়াট উক্তি!

    বড় বড় মনিষীরা উক্তিটা তাদের কোন বইয়ে কত পৃষ্টায় লিখেছে, বইয়ের নাম সাথে পৃষ্টা নং সহ তথ্য দিয়ে লিখা উচিৎ ছিল। Islam is the complete code of life

    ReplyDelete
    Replies
    1. প্রায় প্রত্যেকটিরই সোর্স উল্লেখ করা আছে !
      চোখে দেখতে পাননা নাকি?

      নাকি অন্ধবিশ্বাস আপনার চোখকেও অন্ধ করে দিয়েছে ?

      Delete
    2. ওই দ্বিতীয় কারণটাই আসল কারণ, যেটা আপনি লিখেছেন দিদি। 🙏🙏 পশ্চিমবঙ্গ থেকে লিখছি।

      Delete
    3. নমস্কার দাদা🙏

      Delete
    4. শুভ নববর্ষের প্রীতি শুভেচ্ছা নেবেন দিদি। পশ্চিমবঙ্গ না বাংলাদেশ থেকে লিখছেন??

      Delete
    5. বৃহত্তর বাংলা থেকে লিখছি ❤️

      Delete
  3. যখন যুক্তি দিয়ে উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা মুসলিমদের থাকে না, বিখ্যাত মনীষীদের বইয়ের নাম, প্রকাশ হবার সাল, পৃষ্ঠা নাম্বার সবকিছুর তথ্য নিচে দেওয়া দেখে পাল্টা কোন যুক্তি দিতে পারেনা, তখন মানেহীন ,মাথামুণ্ডুহীন, হাবিজাবি উত্তরই মুসলিমদের একমাত্র ক্ষমতা হয়ে দাঁড়ায়। আবার একবার প্রমাণ হলো।

    ReplyDelete
Post a Comment
To Top