আচার্য চাণক্য একজন অসাধারন পন্ডিত ও প্রবাদপ্রতিম পুরুষ । মানুষকে জীবনের সঠিক দিশা ও ধর্মপথ দেখাতে তিনি ৬০০০ শ্লোক সংবলিত একটি নীতিগ্রন্থ রচনা করেন ।
সেখান থেকেই কিছু শ্লোক তুলে ধরছি ।
© চাণক্য শ্লোক ১ম খন্ড.....
1. জ্ঞানী ব্যক্তি আপন দারিদ্র, মনের দুঃখ, গৃহের কলঙ্গ এবং অপমানের ঘটনা অপরের কাছে প্রকাশ করেন না ।
2. অলস ব্যক্তির বিদ্যা হয় না, বিদ্যাহীন ব্যক্তির ধন হয় না । নির্ধনের বন্ধু জোটে না আর বন্ধুহীন ব্যক্তির সুখ কোথায় ?
3. ক্ষুদ্র বা তুচ্ছ বস্তুও একীভূত হলে কার্যসাধনে সক্ষম হয় । বহু তৃণের সমবায়ে প্রস্তুত রজ্জুর দ্বারাও মদমত্ত হস্তিগুলিকে বাধা যায় ।
4. নীচ বংশীয় ব্যক্তি যদি রাজা হয়, মূর্খের পুত্র যদি পন্ডিত হয়, দরিদ্র ব্যক্তি যদি ধনবান হয়--তারা জগতকে তুচ্ছ মনে করে ।
5. শাস্ত্র নানা সংশয় ছিন্ন করে, শাস্ত্র অপ্রত্যক্ষ বিষয়সমূহকে প্রত্যক্ষীভূত করে । শাস্ত্র সকলের চক্ষু স্বরূপ । সেই শাস্ত্রজ্ঞান যার নেই, সে অন্ধ ।
6. মানুষকে বেশি সহজ-সরল হওয়া উচিত নয় । কেননা সোজা গাছ আর সোজা মানুষকেই সবার আগে কাঁটা হয় ।
7. যারা অধম, তারা কেবল ধনই চায় । মধ্যম শ্রেনির লোকেরা ধন এবং মান দুটোই চায় । কিন্তু উত্তমেরা কেবল মানই চায়৷ কেননা মানই হলো মহতের ধন ।
8. যেখানে গুণীব্যক্তি নেই, সেখানে নির্গুণ ব্যক্তিও গুণীরূপে সম্মানিত হয় । যে দেশে বৃক্ষ নেই, সে দেশে ভেরেন্ডারাও বৃক্ষরূপে পরিগনিত হয় ।
9. হে দেবী সরস্বতী, তোমার ভান্ডারকে যেন এক অপূর্ব দেখায় । যা ব্যয় করলে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় । সঞ্চয় করলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ।
10. রোগাবস্থায়, বিপদে, দুর্ভিক্ষের সময়, শত্রু কর্তৃক বিপন্ন হলে, বিচারালয়ে এবং মৃত্যুকালে যে পাশে থাকে সেই প্রকৃত বন্ধু ।