বাংলা নববর্ষের জনক আকবর নয় !!
জানুন আসল ইতিহাস......
বাংলা নববর্ষের সৃষ্টিকারী হলেন মহারাজ শশাংক , আকবর নয় !
সকলেই অবগত আছেন যে বিশ্ব বিদিত জ্যোতিষ শাস্ত্রের জন্ম এই ভারত উপমহাদেশে....
এবং তা ভারতীয় মুনি-ঋষিদের দ্বারা প্রদত্ত !
তৎকালীন সময়ে বিধর্মীদের এই শাস্ত্র জানা তো দূরে থাক, কল্পনারও অতীত ছিলো ।
আমাদের ধর্মীয় শাস্ত্র-গ্রন্থ অনুযায়ী এবং শ্রীমদভগবদগীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন মাসের মধ্যে আমি মার্গশীর্ষ অর্থাৎ অগ্রহায়ণ !!
তাই মহারাজ শশাংক 'অনুরাধা' নক্ষত্র অনুযায়ী (ঐ সময় পৃথিবীতে অনুরাধা নক্ষত্রের কার্যক্ষমতা বেশি এবং দীর্ঘক্ষণ থাকে) অগ্রহায়ণ মাসের নামকরণ করেন এবং ঐ সময় বাংলা বর্ষের প্রথম মাস অগ্রহায়ণকেই ধরা হতো !!
এখন আমি বারোটা মাসের নাম কিভাবে হয়েছে তার বর্ণনা দিচ্ছি :
১. অনুরাধা নক্ষত্রের নাম ও কার্য অনুসারে অগ্রহায়ণ মাস ।
২. পুষ্যা নক্ষত্রের নাম ও কার্য অনুসারে পৌষ মাস ।
৩. মঘা নক্ষত্রের নাম ও কার্য অনুসারে মাঘ মাস ।
৪. ফাল্গুনী নক্ষত্রের নাম ও কার্য অনুসারে ফাল্গুন মাস ।
৫. চিত্রা নক্ষত্রের নাম ও কার্য অনুসারে চৈত্র মাস ।
৬. বিশাখা নক্ষত্রের নাম ও কার্য অনুসারে বৈশাখ মাস ।
৭. জেষ্ঠা নক্ষত্রের নাম ও কার্য অনুসারে জৈষ্ঠ্য মাস ।
৮. আষাঢ়া নক্ষত্রের নাম ও কার্য অনুসারে আষাঢ় মাস ।
৯. শ্রবণা নক্ষত্রের নাম ও কার্য অনুসারে শ্রাবণ মাস ।
১০. ভদ্রা নক্ষত্রের নাম ও কার্য অনুসারে ভাদ্র মাস ।
১১. অশ্বিনী নক্ষত্রের নাম ও কার্য অনুসারে আশ্বিন মাস।
১২. কৃত্তিকা নক্ষত্রের নাম ও কার্য অনুসারে কার্তিক মাস ।
এই হলো বারো মাস ।
ঐ সময়ে বিধর্মী এবং বিধর্মী শাসকদের মূল লক্ষ ও চক্রান্ত ছিল বিশ্ব হতে সনাতনী কৃষ্টি-কালচার ধ্বংস করে ফেলার ।
সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আকবর বাংলা বর্ষের প্রথম মাস অগ্রহায়ণ বাদ দিয়ে বৈশাখ মাসের প্রচলন করে ।
তার স্বৈরাচারী-তরবারী ক্ষমতার বলে !!
বিধর্মীরা আরও বলে থাকেনঃ
বর্তমানে বৈশাখ মাসে যে সংস্কৃতি প্রদর্শনমূলক মেলা বসে, সেটিও নাকি আকবর প্রচলন করে, মিনা বাজারের মাধ্যমে !!
এই মিনা বাজারের ইতিহাস যে কতো ভয়ংকর এবং স্বৈরাচারীমূলক তা জানলে আপনাদের প্রত্যেকের লোম খাঁড়া হয়ে যাবে ।
এই মিনাবাজারে আকবর হিন্দু নারীদের মুসলিমদের কাছে যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করতো ।
লক্ষ লক্ষ হিন্দু নিধনকারী তুঘলকের প্রিয় শখ ছিল বাজারে আগত মুসলিম বন্ধুদের হিন্দু রমনীদের উপহার দেওয়া !!
এখন সময় এসেছে, প্রতিটি সনাতনী জেগে উঠুন বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলুন । এই সমস্ত কু-কীর্তির বিরোদ্ধে রুখে দাড়ান ।
সনাতনী কৃষ্টি -কালচার ফিরিয়ে আনুন ।
অগ্রহায়ণ মাসকে বাংলা বর্ষের প্রথম মাস হিসেবে তুলে ধরুন !!
এটি আমাদের প্রতিটি সনাতনীর প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকার হিসেবে বেছে নিন ।
পরিশেষে আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ : এই পোষ্টটি এতো পরিমাণে শেয়ার করুন যে প্রতিটি সনাতনীদের দুয়ারে-দুয়ারে যেন এই সংবাদ পৌছে যায় ।
এতে করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশও মান্য করা হবে ।
Very informative post❤❤
ReplyDelete🙏🙏
Delete